পূর্ণিমা তিথি: পূর্ণিমা, যার মানে “পূর্ণ চাঁদ”। এটি চন্দ্রের একটি বিশেষ অবস্থা, যেখানে চাঁদ পৃথিবী থেকে পূর্ণাঙ্গ ভাবে দেখা যায়। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি মাসে একবার পূর্ণিমা তিথি আসে এবং পূর্ণিমা তিথি কবে। পূর্ণিমা তিথি ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আসুন, জানি পূর্ণিমা তিথি সম্পর্কে কিছু বিশেষ কথা।
পূর্ণিমা তিথি কবে
Purnima Tithi – 2025 | Start & End Time |
---|---|
January | Jan 13, 5:03 am – Jan 14, 3:56 am |
February | Feb 11, 6:56 pm – Feb 12, 7:23 pm |
March | Mar 13, 10:36 am – Mar 14, 12:24 pm |
April | Apr 12, 3:22 am – Apr 13, 5:52 am |
May | May 11, 8:02 pm – May 12, 10:25 pm |
June | Jun 10, 11:36 am – Jun 11, 1:13 pm |
July | Jul 10, 1:37 am – Jul 11, 2:06 am |
August | Aug 08, 2:12 pm – Aug 09, 1:25 pm |
September | Sep 07, 1:41 am – Sep 07, 11:38 pm |
October | Oct 06, 12:24 pm – Oct 07, 9:17 am |
November | Nov 04, 10:36 pm – Nov 05, 6:49 pm |
December | Dec 04, 8:38 am – Dec 05, 4:44 am |
পূর্ণিমা তিথি: ধর্মীয় গুরুত্ব
পূর্ববর্তী বহু যুগে পূর্ণিমা তিথি ছিল নানা আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানের জন্য এক বিশেষ দিন। হিন্দু ধর্মে পূর্ণিমা তিথি বেশ কিছু পূজা-পাঠ ও ভক্তি অনুষ্ঠান করতে শুভ দিন হিসেবে গণ্য হয়। বিশেষ করে গঙ্গা পূর্ণিমা, কৃষ্ণ পূর্ণিমা (যা জন্মাষ্টমী হিসেবে পরিচিত) এবং শ্রীচৈতন্য পূর্ণিমা অনেক মানুষ পালন করেন। পূর্ণিমা তিথিতে মন্দিরে বিশেষ পূজা, কীর্তন এবং ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠিত হয়।
পূর্ণিমা তিথির আধ্যাত্মিক দিক – পূর্ণিমার রাতে চাঁদের আলোর প্রভাবে পৃথিবী ভিন্ন এক আধ্যাত্মিক পরিবেশ তৈরি হয়। অনেকেই বিশ্বাস করেন, পূর্ণিমা তিথিতে শুভ শক্তির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এটি এমন একটি সময়, যখন মন, চিত্ত ও হৃদয় শুদ্ধি লাভ করে। প্রাচীন আধ্যাত্মিক চর্চার মধ্যে এই দিনটি যোগ ও ধ্যানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পূর্ণিমা তিথি: সৃষ্টির দিক
পূর্ণিমা তিথি শুধুমাত্র ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গুরুত্বই রাখে না, এটি প্রকৃতির একটি অসাধারণ সৌন্দর্যও সৃষ্টি করে। পূর্ণিমার রাতে আকাশে উজ্জ্বল চাঁদ দেখলে, মন ভালো হয়ে যায় এবং এক শান্তি অনুভূতি হয়। অনেকেই এই সময়টি প্রকৃতির মাঝে হাঁটতে বা নদীতে স্নান করতে পছন্দ করেন। বিশেষত, গঙ্গা নদীতে পূর্ণিমার রাতে স্নান করলে পাপ নাশের ধারণা প্রচলিত।
পূর্ণিমা তিথিতে কী কী করা যায়?
১. পূজা ও ব্রত: পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান বা মা দুর্গার পূজা, মানত পূর্ণ করা যায়।
২. ধ্যান ও যোগব্যায়াম: এটি আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য এক উপযুক্ত সময়।
৩.শান্তি ও সমাধান খোঁজা: যদি জীবনে কোনো সমস্যা থাকে, তবে পূর্ণিমা রাতে নিজের ভাবনা ও মনোযোগ ঠিক করে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করা যায়।
4. সুন্দর সময় কাটানো: রাতের চাঁদের আলোয় হাঁটা বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া যায়।
পূর্ণিমা তিথি আমাদের জীবনে একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, যা ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা, প্রকৃতি এবং শান্তির সাথে সংযুক্ত। এটা শুধু একটি চাঁদের পালা নয়, বরং আমাদের মনের প্রশান্তি এবং জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য একটি বিশেষ দিন। এই দিনটি আমাদের মধ্যে শান্তি, সুখ এবং সমৃদ্ধির অনুভূতি নিয়ে আসে।
আপনার জীবনে পূর্ণিমা তিথি কখনো যদি শান্তির অনুভূতি এনে দেয়, তবে সেদিনটি সত্যিই পূর্ণ এবং অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে।