মঙ্গল নির্দেশ করে বীরত্ব, সাহস ,বিক্রম ,তেজ ,পত্রায়, আত্মবিশ্বাস ,স্পষ্টবাদিতা, দৃঢ়চেতা, স্বাধীনচেতা, কর্মক্ষমতা, রসায়ন শাস্ত্রজ্ঞান, একগুঁয়েমি ,স্বেচ্ছাচারিতা, নিষ্ঠুরতা হত্যা, মামলা- মোকদ্দমা, যুদ্ধ-বিগ্রহ, প্রতিহিংসাপরায়ণতা, হঠকারিতা, অহংকারী ,জমি-জমা ,বাড়ি-ঘর ,শাসনক্ষমতা, অস্ত্রশস্ত্র।
মঙ্গলের জাতক দৈহিক গঠন-
মঙ্গলের প্রভাবে জাতকের বলিষ্ঠ ,পেশীবহুল, শক্তিশালী চেহারা হয়। মধ্যম উচ্চতা, গায়ের রঙে ফর্সার মধ্যে তামাটে বা লাল আভা থাকে, মাথার উপরিভাগ সামান্য চওড়া, কপাল ও পিছনের অংশ সামান্য ফোলা থাকে। ঘাড়ের দিক মাংসল এবং ছোট হয়। চোখ উজ্জ্বল, বুদ্ধিদীপ্ত এবং গোলাকার হয়। ওষ্ঠের নীচের দিক ফোলা হয়।
আপনার মুখের গড়ন একটু চৌকো । চোখের দুই কোণের দুটি অংশ বিশেষ অতিরিক্ত লাল । চোখের মনি সামান্য ঘোলাটে বা ব্রাউন হয়ে থাকে । দৃষ্টি তে রাগী রাগী ভাব । চোয়ালের মাংস শক্ত ভাবে উঠা নাবা করে ।
মঙ্গলের জাতক চরিত্র
আপনি এক রোখা ও খুব রাগী ও তেজী। যা কাজ করেন তার পরিণতির কথা চিন্তা করে না। আপনি ভীষণ সাহসী এবং সাহসিকতার জন্য বিপদে পরেন । এরা যখনই কথা বলেন বা কোন বাপারে তর্ক করেন তখন প্রতিপক্ষ কে কোন কথা বলতে দেয় না নিজেই বলে যান ।
আপনি সবসময় কাজ করতে ভালবাসেন । কাজ ছাড়া থাকতে পারেন না । পরাধীনতা মানেন না নিজে স্বাধীনভাবে থাকতে চান । নিজেই বস হয়ে কাজ করেন । কারো আদেশ বা কেও দাদাগিরি করুক , আপনি তা চান না । বুদ্ধি কিছুটা কম।
এই ক্ষেত্র শুভ হলে বাড়ি ও ভূ-সম্পত্তি লাভ হয়। জাতক ব্যবসায় ও কর্মে বেশ উন্নতি করতে সক্ষম হয়। অন্য ক্ষেত্রে করত্রিভুজ বা করচতুর্ভুজ দেখা গেলে তা আরও শুভ।
জীবনের পথে বাধা এলে এরা অতিক্রম করতে পারে। এমনকি রাজার মত সম্মান পেতে পারে।
মঙ্গলের সমতল ক্ষেত্রে সংকীর্ণ হলে ও তাতে কাটাকাটি থাকলে – তা অশুভ বুঝতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রভৃতি কাজে শুভ ফল পাবেন না। তা ছাড়া এই ক্ষেত্রের বিপরীত ফলে মান-সম্মান প্রতিপত্তি নষ্ট হবে । তাই মঙ্গলের সমতলের বিচার অবহেলা করা উচিত নয়।
এই ক্ষেত্র শুভ হলে যেমন মঙ্গলের বা শনির মতো খুব ভাল – অশুভ হলে তেমনি খারাপ – তা মনে রাখতে হবে ।
শরীরের অংশ–রক্ত, রক্ত বাহিকা নাড়ী, মস্তিষ্ক ,কটিদেশ, গুহাদেশ, শরীরের পেশীসমূহ নিতস্ব।
রোগ–অশুভ মঙ্গলের প্রভাবে রক্ত আমাশয়, অর্শ ,ভগন্দর, ফিসচুলা, জ্বর,বসন্ত, হাম, টিউমার ,অস্ত্রাঘাত, দুর্ঘটনাজনিত কারণে শরীরে আঘাত, অপারেশন ,রক্তক্ষরণ, ফোঁড়া, কার্বাঙ্কল ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বৃত্তি–সৈন্য বিভাগ, প্রশাসনিক আধিকারিক, ইঞ্জিনিয়ার ,সার্জেন-ডাক্তার, পুলিশ, ফার্মার, বিগ্রেডের কর্ম, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, কেমিক্যাল ফ্যাক্টরির কর্ম, অস্ত্র-শস্ত্র, শিল্প সংস্থা, নাপিত, কসাই ,কন্ট্রাক্টর ইত্যাদি কর্মের সঙ্গে মঙ্গলের জাতক সাধারণত যুক্ত থাকে।
মঙ্গল দোষের প্রতিকার
প্রতিদিন হনুমান জিকে ছোলা দিলে মঙ্গল দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মঙ্গল দোষে আক্রান্ত ব্যক্তির মাটিতে ঘুমানো উচিত।