জানুয়ারি মাসে জন্ম হলে কি হয়। দেখে নিন

জানুয়ারি মাসে জন্ম হলে আপনার মধ্যে অসম্ভব মনের জোর দেখতে পাওয়া যাবে । আপনি হবেন খুব ভালো ব্যবসায়ী, সরকারি চাকরিজীবী, চিন্তাশীল এবং জ্ঞানী । আপনি হবেন গম্ভীর মেজাজের ।তবে আপনি যা কিছুই করেন তা অত্যন্ত খুটিনাটি বিষয় এর দিকে লক্ষ্য রেখে করেন। আপনি অত্যন্ত কূটনৈতিক বুদ্ধিসম্পন্ন। সহজেই লোকের পেটের কথা বার করে নিতে পারেন।

জানুয়ারি মাসে জন্ম স্বভাব ও চরিত্র

আপনি হবেন অত্যন্ত উচ্চভিলাসী এবং আপনি আপনার সঙ্গী সাথী আত্মীয়-পরিজন কে পিছনে ফেলে রেখে এগিয়ে যাবেন । অনেক বাধা বিঘ্ন আপনার যাত্রা পথে আসবে। কিন্তু আপনার ধৈর্য এবং লেগে থাকবার ক্ষমতার জন্য আপনি একে একে সমস্ত বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করবেন। আপনি যে কাজ শুরু করেন তা অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শেষ করেন।

আরো পড়ুন – ধনু রাশির মহিলারা কেমন হয়

অপরের ওপর আপনার প্রভাব চুম্বক শক্তির মত। আপনি দায়িত্ব না পেলে কোন কাজ সম্পন্ন করে করতে পারেন না। আপনি নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে খুব বেশি সচেতন ।আপনার অন্তর্দৃষ্টি খুব বেশি থাকে। আপনি স্বাধীনচেতা মানসিকতার। পরাধীনতা ভালোবাসেন না। আপনার মন খুব বড় হয় ।প্রতিবেশীদের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করে চলতে পারেন। এমন কোন কাজ যার সাথে জনগণের সম্পর্ক আছে তাতে আপনি সাফল্য লাভ করবেন।

তবে আপনি ধার্মিক না হলেও আপনার মনে প্রচুর ভক্তি থাকে। সবাই মিলে মানুষের কল্যাণ করতে আপনি ভালোবাসেন। আপনি হবেন স্পষ্টবাদী এবং ভালো বক্তা। তাই অনেক সময় মানুষের সাথে ভুল বোঝাবুঝির কারণে আপনার শত্রু বেড়ে যায়।

তবে আপনার মধ্যে একটা প্রধান দোষ আছে ।আপনি খুব অল্পতেই আপনার মনের জোর হারিয়ে ফেলেন এবং আত্মবিশ্বাস কমে যায়। আপনি বাইরে যতটা কঠিন কিন্তু ভেতরে ততটাই নরম। কারো দুঃখ দেখলে আপনি সহজেই দুঃখী হয়ে পড়েন। দান করার ইচ্ছাটা আপনার প্রবল।

জানুয়ারি মাসে জন্ম হলে জাতক বুদ্ধিমান এবং চালাক মানুষের আপনি শ্রদ্ধা করেন। আপনি অন্যের কোন কাজে মাথা গলাতে চান না। আপনি সংসারে খুব কম সময় দেবেন এবং এর জন্য আপনার পারিবারিক জীবনে আপনি খুব একটা সুখ পাবেন না। আপনি আপনার নিজের সমস্ত সুখ স্বাচ্ছন্দ বিসর্জন দিয়ে দুস্থ মানুষের দেখাশোনার ভার গ্রহণ করেন ।তবে জীবনের কোনো এক সময়ে আপনি নিজেকে খুব একা মনে করবেন ।এর জন্য লোকে আপনাকে ভুল বুঝবে।

টাকাপয়সার ব্যাপারে আপনি হবেন হিসাবি এবং সতর্ক। আপনার কাছে যা অর্থ আছে লোকে তারচেয়ে আপনাকে বেশি ধনী মনে করবে। আপনি অর্থ রোজগার করবেন কিন্তু আপনার হাত থেকে তা জলের মতো বেরিয়ে যাবে। আপনি যদি অর্থ সঞ্চয় না করেন তবে শেষ বয়সে আপনার অনেক দুঃখ আছে।

জানুয়ারি মাসে জন্ম হলে তাদের বেশীরভাগেরই পেটের গন্ডগোলও লিভারের সমস্যায় ভোগেন । তারসাথে পায়ের কোন রকম অসুখ, দাঁতের অসুখ, এসমস্ত হতে পারে।

জ্যোতিষশাস্ত্র সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত মতামত:

আমাদের ভাগ্য নির্ভর করে আমাদের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠা বা অবস্থার উপর। এই ভাগ্য তিনটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে।

ধরুন, খুব ধনী পরিবারের একটি শিশু একটি নার্সিং হোমের পঞ্চম তলায় জন্মগ্রহণ করে। সেই সঙ্গে নার্সিংহোমের নীচে ফুটপাতে অত্যন্ত দরিদ্র এক শিশুর জন্ম হয়। তাহলে দুজনের অস্ট্রোলোজিক্যাল চার্ট একই হবে। কিন্তু দুজনের ভাগ্য কি এক হবে?
না, দুজনের ভাগ্য এক হবে না। সেই ভাগ্য, মানে , যেটা আমাদের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠা বা মর্যাদা দেয় । দরিদ্র ছেলেটি তার ভাগ্য গঠনের জন্য তার পরিবার এবং পরিবেশ থেকে কোন সাহায্য পাবে না। তাই ভাগ্যের জন্য পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু শরীরের রোগের দিক থেকে উভয়ের মধ্যে কিছু অসম্ভব মিল থাকবে। কিন্তু এস্টাব্লিশমেন্ট এবং স্ট্যান্ডার্ড অব লিভিং ভিন্ন হবে। তবে দুজনের সময় কিন্তু একই কথা বলবে । যেই সময় বড়লোকের ছেলে একটা বড় পাঁচতলা বাড়ি বানাবে, সেই সময় গরীবের ছেলে একটা ছোট বাড়ি বানাবে। যেই সময় বড়লোকের ছেলে একটা বড় গাড়ি কিনবে, সেই সময় গরীবের ছেলে হয়তো একটা ছোট সাইকেল কিনবে।

অনেকের মতে, এই মনের জোর, ইচ্ছাশক্তি এসব নয়। ভাগ্যে যা আছে তাই হবে। ভাগ্যং ফলতি সর্বত্র - আমি এটা বিশ্বাস করি না। সবকিছু যদি ভাগ্যের ব্যাপার হয় , তাহলে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার দরকার নেই। ভাগ্যে যদি লেখা থাকে আমার ছেলে ডাক্তার হবে , তখন তাই হবে । ধরুন আমি আজ দিল্লি যাবো । আমি যদি বলি ভাগ্য আমাকে নিয়ে দিল্লি যাবে এবং আমি বাড়িতে বসে থাকবো। তাহলে আমি কি দিল্লি যেতে পারবো ? তাই আমি বলি আমাদের ভাগ্য নির্ভর করে আমাদের ইচ্ছাশক্তির উপর।

আমরা জ্যোতিষীরাই এর বিচার করতে পারি।

ভাগ্যের এই তিনটি স্তম্ভ কখনই সমান নয়। ধরুন, একটি দরিদ্র ছেলে নিজের ইচ্ছায় তার জীবনে অনেক উন্নতি করেছে। এক্ষেত্রে প্রথম স্তম্ভের জোর একেবারেই ছিল না। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্তম্ভের মাধ্যমে, তিনি তার জীবনকে উন্নত করেছিলেন।