ভাইফোঁটা 2024 – 7 Unknown Amazing Facts

You are currently viewing ভাইফোঁটা  2024 – 7 Unknown Amazing Facts

ভাইফোঁটা বা ভ্রাতৃদ্বিতীয়া 2024 তারিখ ও সময় – দুর্গাপুজোর (Durga Puja) রেশ কাটতে না কাটতেই পরপর আসে লক্ষ্মী(Laxmi) আর মা কালী (Maa Kali) পুজো। আর মা কালী (Maa Kali) পুজোর পর আসে ভাইফোঁটা বা ভ্রাতৃদ্বিতীয়া ।  

  “ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা। যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা॥ যমুনার হাতে ফোঁটা খেয়ে যম হল অমর। আমার হাতে ফোঁটা খেয়ে আমার ভাই হোক অমর॥”

…  এই মন্ত্র পড়ে বছরের একটা দিনে ভাই বা দাদাদের মঙ্গল কামনায় ভাইফোঁটা পালন করেন বোন এবং দিদিরা। ভাই ফোঁটা   গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পালিত হয় এই উৎসব । কোথাও ভাইফোঁটা, কোথাও ভাইদুজ, কোথাও ভাইবিজ আবার কোথাও বা ভাইটিকা। ভাইফোঁটার কিছুদিন পরেই আসে  রাসপূর্ণিমা। 

 

বোন বা দিদিরা চন্দন কাঠ জল দিয়ে ঘষে অথবা দইও মিশ্রিত করে চন্দন কাঠের সাথে নিজের অনামিকা আঙ্গুল দিয়ে  “ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা। যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা ॥ যমুনার (Jamuna) হাতে ভাইফোঁটা খেয়ে যম হল অমর। আমার হাতে ফোঁটা খেয়ে আমার ভাই হোক অমর॥” পড়তে পড়তে তিনবার (Three Times) ফোঁটা দিয়ে দেয়। অতঃপর, বোন বা দিদিরা তার ভাই অথবা দাদার  মাথায় ধান এবং দুর্বা ঘাসের শীষ রাখে।

এই সময় শঙ্খ বাজানো হয় এবং হিন্দু নারীরা উলুধ্বনি করেন। এরপর বোন (Sister) তার ভাইকে আশীর্বাদ করে থাকে (যদি বোন তার ভাইয়ের তুলনায় বড় হয় অন্যথায় বোন ভাইকে প্রণাম করে আর ভাই বোনকে আশীর্বাদ করে থাকে)। তারপর বোন বা দিদিরা  ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি (Swites) দ্বারা ভাইকে মিষ্টিমুখ করায় এবং উপহার দিয়ে থাকে। ভাইও তার সাধ্যমত উক্ত বোনকে উপহার দিয়ে থাকে।

ভাইফোঁটার শুভমুহূর্ত :

এবছর ( 2024 ) ভাই বা ভ্রাতৃদ্বিতীয়া ফোঁটার শুভমুহূর্ত তিথি শুরু হচ্ছে  3  নভেম্বর ( রবিবার )  দুপুর 12 টো 52 মিনিট থেকে 15 : 06  মিনিটে শেষ হবে  । স্থিতিকাল : 2 ঘণ্টা 13 মিনিট। 

কথাই  আছে, এই ভাইফোঁটার উৎপত্তি হয়েছে মৃত্যুর দেবতা যম অথবা যমরাজ  থেকে। এই বিশেষ তিথিতে যমরাজ তাঁর বোন (Sister) যমুনার থেকে ফোঁটা নিয়েছিলেন। সেই কারণে এই উৎসবকে ‘যমদ্বিতীয়া’ও বলা হয়।

আবার অন্যমতে, শ্রীকৃষ্ণ নরকাসুরকে বধ করার পর বোন সুভদ্রার কাছে গিয়েছিলেন। সেই সময় সুভদ্রা তাঁর কপালে ফোঁটা দিয়ে মিষ্টি খেতে দিয়েছিলেন। সেই থেকেই ভাইফোঁটা উৎসবের উৎপত্তি।

 ভাই বোনের  উৎসব হলো ভাইফোঁটা । তবে দেশে ও রাজ্য ভেদে ভাই ফোঁটাকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। পশ্চিমবঙ্গের  সহ প্রতিবেশী রাজ্য সিকিম এবং নেপালের মতো হিন্দু দেশে ভাইফোটা কে ভাই টিকা, ভাই দুজ বলা হয় । আমাদের পশ্চিমবঙ্গে ভাইফোটাকে ভাই-বোনের বিশেষ উৎসবের, বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। 

  ভ্রাতৃদ্বিতীয়া একটি হিন্দু উৎসব। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে  ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উৎসব পালন করা হয়। ভাই আর দাদা দের  মঙ্গল কামনায় বোনেরা এবং দিদিরা এই বিশেষ দিনটিতে ভাই বা দাদার  কপালে দই, চন্দনের ফোঁটা দিয়ে, ধান দূর্বা মাথায় দিয়ে ভাই এবং দাদার  দীর্ঘায়ু, সাফল্য ও সুস্থ জীবনের প্রার্থনা করে থাকে এবং ভাই ও দাদারা তাদের বোনকে (Sister) অথবা দিদিকে  রক্ষা করার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে নানা উপহার (Gift Item) দিয়ে থাকে। এই উৎসবের নাম ভাই দুজ বা ভাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা।